DHA এবং ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট

ডোকোসাহেক্সনিক এসিড বা সংক্ষেপে DHA হলো মস্তিষ্ক গঠনের একদম প্রাথমিক উপাদান। সহজ করে বললে DHA ছাড়া ব্রেইন গঠন হয় না। তাই, একদম শুরু থেকেই সন্তানকে ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট-এ সাহায্য করতে, প্রত্যেক বাবা-মায়েরই উচিত সন্তানকে ডোকোসাহেক্সনিক এসিড বা DHAসমৃদ্ধ খাওয়ার খাওয়ানো।

সন্তানকে DHA সরবরাহ করার একটা বিশেষ সময় আছে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর যতই DHAসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হোক, লাভ হবে না। কারণ, ব্রেইন ডেভেলপ হওয়ার সবচেয়ে আদর্শ এবং একইসাথে ক্রিটিক্যাল টাইম পিরিয়ড হলো প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাস থেকে বাচ্চার জন্মের পর ৫ বছর পর্যন্ত।

ইংল্যান্ডে একটা গবেষণায় দুই দল,এক গ্রুপের প্রেগনেন্ট মায়েদের DHA দেয়া হয়েছে আর আরেক গ্রুপের মায়েদের DHA দেয়া হয় নি দেখা গেছে যে গ্রুপে DHA দেয়া হয়েছে সেই বাচ্চাদের IQ ভালো হয়েছে এবং স্কুলে পারফর্মেন্স তুলনামুলকভাবে অন্য গ্রুপের চেয়ে ভালো।
এই সময়ে ব্রেইনকে যতোটা সমৃদ্ধ করা যাবে, ভবিষ্যতে পড়াশোনা থেকে শুরু করে, IQ এবং ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে ব্রেইন ততো শক্তিশালী হবে।

DHA যেভাবে ব্রেইন ডেভেলপ করে:
জন্মের পর মানুষ সবগুলো ব্রেইন সেল নিয়ে জন্ম নিলেও তাদের ব্রেইন সেলগুলো কানেক্টেড থাকে না। DHA ৫ বছর ধরে এসব ব্রেইন সেলকে একটিকে আরেকটির সাথে প্লাগ-এর মতো কানেক্ট করে। ফলে ধীরেধীরে সন্তানের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম স্ট্রং হয়। মস্তিষ্কের এই সেল কানেকশন যতো স্ট্রং হবে, সন্তানের চেতনা, স্মৃতিশক্তি এবং মেধা ততো বেশি হবে।

অন্য যেকোনো পুষ্টি উপাদান চাইলেই পাওয়া গেলেও, সব খাবারে সচরাচর DHA পাওয়া যায় না। খুবই অল্প কিছু খাবার আছে যেগুলোতে DHA আছে প্রচুর পরিমাণে। যেমন মাছ ও মাছের তেল,সেলমন,টুনা, কডলিভার অয়েল ইত্যাদি। তাই ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে মাছ খাওয়াতে হয় বেশি বেশি। বয়স ৪-৫ হলে অনেক বাচ্চাদের মধ্যেই দেখা যায় খাবারে বাছাবাছির প্রবণতা। এটা খায় তো ওটা খায় না, এটা মন্দ তো ওটা গন্ধ; এমন নানান রকম ইস্যু। কিন্তু DHA তো দিতে হবে! সেক্ষেত্রে সমাধান হলো, একঘেয়ে রেসিপিতে মাছ না খাইয়ে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে খাওয়ানো। যেমন, মাছের স্যান্ডউইচ, বা বড়া, বা ভাজি, ফিশ ফিঙার বা কোপ্তা ইত্যাদি।

facebook.com linkedin.com twitter.com
Categories:

Leave a Reply

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে প্রয়োজন যে ৮টি খাবার
প্রতিটি পরিবারে বাচ্চাদের খাবার নিয়ে থাকে বাড়তি সচেতনতা। বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে, বাচ্চার বয়স
শিশুর আয়োডিনের ঘাটতি হলে কোন ৫টি সমস্যা দেখা দেয়?
শিশুর আয়োডিনের ঘাটতি হলে যে ৫টি সমস্যা দেখা দেয় বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আয়োডিনের ঘাটতির
পরীক্ষার সময় মনোযোগ ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার
স্টুডেন্ট লাইফ মানেই প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা। শিক্ষা জীবনে স্টুডেন্টদের পরীক্ষার মাধ্যমেই ধাপে ধাপে এগিয়ে
দৈহিক সুস্থতায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জিংক কেন প্রয়োজন?
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ থাকা চাই। সহজভাবে বলতে চাইলে,
don't worry about summer
প্রচন্ড গরমে নিমিষেই দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি
রোদের তাপ ক্রমশ বাড়ছে তাই না? এদিকে এই গরমের দিনে মিসেস শারমিনকে থাকতে হয় সারাদিন
গরমে সুস্থ থাকতে কেমন খাবার খাওয়া চাই?
ইদানীং অনেক গরম পড়েছে তাই না? চারিদিকে গরমের দাবদাহে জীবন প্রায় অতিষ্ঠ। কিন্তু জীবন-জীবীকার খোঁজে আমাদের
কম খরচে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকা যেমন হওয়া উচিত
বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? মাছ-মাংসের দাম শুনলেই মনে হয় বাজারে আগুন লেগে আছে। কিন্তু
গর্ভাবস্থায় প্রোটিন কেন জরুরি ?
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে মায়ের চাই বাড়তি যত্ন ও সব রকমের পুষ্টি
বুদ্ধিতে বৃদ্ধিতে সন্তানের চাই সঠিক পুষ্টি
পুষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুব জরুরি। কেননা জন্মের পর প্রথ এই কয়েক