গ্রীষ্ম এসে গেছে। আর সেই সাথে এসে গেছে মজার ৪টি জুস নিয়ে ঝটপট রেসিপি। আপনারাও ঝটপট রেসিপি দেখে নিন আর চটপট বানিয়ে ফেলুন ছোট্ট সোনামণির জন্য।
**আম লাচ্ছি**
আমে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন ইত্যাদির অন্যতম একটি উৎস। এটি আপনার শিশুর হাড় শক্ত করার পাশাপাশি বৃদ্ধি করে হজমশক্তি। তাহলে বুঝতেই পারছেন, বাচ্চার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আম কতটা ভূমিকা রাখে! তাই এই গরমে তাদের খাবারের তালিকায় আম থাকা জরুরী। বাচ্চারা ফল খেতে চায় না এটা সত্যি। কিন্তু এমন বাচ্চা খুব কমই আছে যারা আম খায় না। সরাসরি খাওয়ানোর পাশাপাশি মাঝে মাঝে স্বাদের পরিবর্তন আনতে, ট্রাই করতে পারেন এই আম লাচ্ছি রেসিপিটা। এতে শিশুর পুষ্টি উপাদান যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি নতুন ড্রিংক পেয়ে সে খুশিও হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী লাগবে আর কীভাবে বানাবেন।
উপকরণ:
প্রণালী:
প্রথমেই আমগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। তারপর, আমের খোসা ছাড়িয়ে কিউব অর্থাৎ চারকোণা করে কেটি নিন। এবার এগুলো দই, মধু ও এলাচসহ ব্লেন্ডারে ঢেলে দিন। এবং মিহি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। ব্যাস হয়ে গেলো! গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
**তরমুজের জুস**
তরমুজ খুবই রসালো একটা ফল। তাই প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে তরমুজের জুস হলে কিন্তু মন্দ নয়। আর উপকারের কথা বললে, এতে আছে ভরপুর ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এছাড়াও তরমুজে থাকা পটাশিয়াম শরীরের ফ্লুইড ও মিনারেলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চলুন দেখি তাহলে রেসিপিটা কী?
উপকরণ:
প্রণালী:
ভালোভাবে ধুয়ে কিউব করে তরমুজ কেটে নিন। কিউব করা তরমুজ, মধু, লবণ ও লেবুর রস একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ১০ সেকেন্ড পর নামিয়ে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। প্রয়োজন হলে খুব সামান্য চিনি মেশানে পারেন।
**আনারসের জুস**
বাচ্চার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আনারসের ভূমিকা অতুলনীয়। আনারস বাচ্চার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এছাড়া, আনারসে থাকা ভিটামিন সি বাচ্চাকে ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। আনারস শিশুর চোখের দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে এবং সাহায্য করে দাঁতের সুরক্ষায়। তাই, নিচের এই রেসিপি দেখে বাচ্চার জন্য বানিয়েই ফেলতে পারেন আনারসের জুস।
উপকরণ:
প্রণালী:
ভালো করে ধুয়ে আনারসের উপরের ও নিচের অংশ কেটে ফেলুন। তারপর মাঝবরাবর কেটে দু’ভাগ করুন এবং খোসা ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন। আনারসের কিউব, চিনি/মধু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। জুস যদি বেশি ঘন হয় তাহলে আসতে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন স্মুথ বা মিহি হওয়া পর্যন্ত। ব্যস! হয়ে গেলে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে বাচ্চাকে দিন।
**বেলের শরবত**
বেল যেকোনো বয়সের মানুষের পেটের বিভিন্ন রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি বেলের জুস তার ত্বক ভালো রাখবে ও চুল গোঁড়া শক্ত করবে। এছাড়াও বেল-এ আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। তাহলে চলুন এটাও শিখে ফেলা যাক?
উপকরণ:
প্রণালী:
বেল মাঝ বরাবর ভেঙে দু’ভাগ করে নিন। এবার, চামচ দিয়ে বেলের ভেতর থেকে ২ কাপ পরিমাণ শাঁস উঠিয়ে নিন। এবার ১টি বাটিতে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে, তাতে বেলের শাঁস হাত দিয়ে মথে পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ছাঁকনি নিয়ে ছেঁকে তার সাথে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে, পরিবেশন করুন মজাদার বেলের শরবত।