সুস্থ শিশু মানেই হাসিখুশি আর প্রাণোচ্ছ্বল। শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য গড়ে তুলতে হবে কিছু সুন্দর অভ্যাস, তাকে রাখতে হবে সবসময় অ্যাক্টিভ। খেলাধুলা কিংবা ক্রিয়েটিভ কাজের মাধ্যমে তাকে আপনি অ্যাক্টিভ রাখতে পারেন। বর্তমান সময়ে যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাইরে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে বারণ করা হচ্ছে তাই এসময় আপনি তাকে ব্যস্ত রাখুন গঠনমূলক ও ক্রিয়েটিভ কাজে। চলুন তবে দেখে নেই এমন কিছু যা তাদের ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে!
ক্রাফটিং
শিশুকে ঘরে অ্যাক্টিভ রাখার একটি খুব ভালো প্রক্রিয়া হলো ক্রাফটিং। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে আপনার বাচ্চার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। রঙিন পেপার, সুতা বা কাপড়, রঙ ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন ক্রাফট এর কাজ করা যায়। কিছু জনপ্রিয় ক্রাফট হতে পারে নৌকা, প্লেন, কাগজের বিভিন্ন ধরনের ফুল, সুতার বল ইত্যাদি। এমনকি বাচ্চারা বন্ধুদের পাঠানোর জন্য বিভিন্ন গ্রেটিং কার্ডস ও বানাতে পারে।
ইন্ডোর গেমস
এখন প্রচুর ইন্ডোর গেমস, বই পাওয়া যায় যা বাচ্চার কগনিটিভ স্কিল বাড়ায়, যেমন- নানা ধরনের একটিভিটি বুক, বিল্ডিং ব্লকস, পাজলস ইত্যাদি। স্মার্টফোন, টিভি বা যেকোনো ডিভাইসের বদলে এই ধরনের খেলা বা বই ওর হাতে তুলে দিন। এতে যেমন ওর মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে তেমনি বুদ্ধির বিকাশ হবে।।
ছোটাছুটি ও দৌড়াদৌড়ি
শিশুর শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা খুবই জরুরী। বাড়ির মধ্যেই বা ছাদে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ছোটাছুটি করে খেলার জন্য বরাদ্দ করতে হবে। এতে ঘাম ঝরবে। ফলে শরীরে এনডরফিন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হতে থাকে। তাছাড়া খেলাধুলায় উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়। শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নানা ধরনের নৈপুণ্য, দক্ষতা আয়ত্তে আসে। খেলাধুলা বা শরীরচর্চা শিশুদের সঠিক খাদ্যাভাস এবং বিশ্রাম বা ঘুমের অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
রান্না শেখা
রান্নার সময় আপনার বাচ্চাকে রান্নার বিভিন্ন টুকিটাকি কাজে আপনাকে সহায়তা করতে উৎসাহিত করুন। বিভিন্ন রান্নার সময় তাদের কুকিং ও বেকিং দুটোতেই ব্যস্ত রাখতে পারেন। তাদের রান্নার অনেক স্কিল শেখানোর পাশাপাশি কোন রান্নায় কতটুকু ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহৃত হচ্ছে এবং পরিমানে কতটুকু লাগছে সেগুলো তাকে পরিমাপ করে দিতে বলুন। বেকিং টাইপের রান্নায় তাদের উপাদানগুলো মিক্স করে দিতে বলুন।
সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট
বাসায় ছোটখাটো এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে। বাচ্চাদের তাদের বিজ্ঞান বই দেখে বা নেট থেকে সহজ কিছু এক্সপেরিমেন্ট ট্রাই করতে বলুন। এতে তার জানার আগ্রহ বাড়বে।
ঘরের ভেতর এভাবেই ব্যস্ত রাখুন আপনার শিশুকে। এতে তার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটবে। সে থাকবে সুস্থ এবং প্রাণোচ্ছল।