বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আয়োডিনের ঘাটতির প্রভাব শিশুর উপর গর্ভাবস্থা থেকেই পরে। মায়ের গর্ভে থাকাকালীন মা যদি আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার না খায় তবে, শিশুর দেহেও আয়োডিনের ঘাটতি থাকে। ফলে শিশুর বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। চলুন তবে জেনে নেই আয়োডিনের ঘাটতি হলে শিশুর আর কী কী সমস্যা হয়।
বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীঃ মায়ের গর্ভে যখন নবজাতকের ভ্রূন থাকে, তখন মায়ের খাবারে আয়োডিনের অভাব হলে, দেহে থাইরক্সিন হরমোন তৈরি হতে পারে না। ফলাফলে শিশুর দেহেও থাইরক্সিন হরমোনের অভাব হয়। আর থাইরক্সিন হরমোন তৈরি না হলে শিশুর পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ হয় না। অনেক সময় শিশু বুদ্ধি-প্রতিবন্দী হিসেবে জন্মগ্রহন করে।
কম উচ্চতাঃ আয়োডিনের অভাবে বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশও সঠিকভাবে হয় না। প্রতিদিনকার খাবারে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ না হলে, অনেক বাচ্চা খর্বাকায় হিসেবে বেড়ে ওঠে অর্থাৎ খাটো আকৃতির হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমঃ আমরা অনেকেই মনে করি, ভিটামিন-এর অভাব হলেই শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়, কিন্তু আয়োডিনের অভাব হলেও বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়। ফলাফল স্বরূপ বাচ্চা সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে না।
গলগন্ড রোগঃ গলগন্ড রোগের কথা আমরা সকলেই জানি। যার অপর নাম ঘ্যাগ। আয়োডিনের অভাবেই এই গলগন্ড রোগ হয়।
শারীরিক দুর্বলতাঃ আয়োডিনের অভাব হলে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। আর স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ কম হলে বাচ্চারা সহজেই রোগ আক্রান্ত হয়। অনেক বেশি রোগে আক্রান্ত হবার ফলে বা অসুস্থ থাকার কারণে, বাচ্চারা সবসময় দুর্বল থাকে।
কথায় আছে, “যদি সুস্থ থাকতে চান, আয়োডিন যুক্ত লবণ খান”। তার মানে কি আয়োডিনের চাহিদা মেটাতে শুধু লবণ খেতে হবে? এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। দুধ, সামুদ্রিক মাছ, কলা, ভূট্টা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন রয়েছে। এখন থেকে তাই আয়োডিনযুক্ত লবণের পাশাপাশি শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার, যাতে শিশুর দেহে আয়োডিনের চাহিদায় ঘাটতি না হয়। বেড়ে উঠুক শিশু সুস্থ-সবলভাবে।
very helpful information