গর্ভাবস্থার খুব কমন একটা সমস্যা হচ্ছে মর্নিং সিকনেস। সাধারণত গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়াকে মর্নিং সিকনেস বলে। তিনমাস পর সাধারণত এটি সেরে যায়। মর্নিং সিকনেস শুধু সকালে না, কারো কারো ক্ষেত্রে বিকালে বা রাতেও হতে পারে।
মর্নিং সিকনেস দূর করতে কী করবেন জেনে নিন-
অল্প অল্প করে খাওয়া
সকালের নাস্তায় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খেতে হবে। সকালবেলা শুকনো খাবার খাওয়াই ভালো। যেমন: মুড়ি, টোস্ট, বাদাম ইত্যাদি। বমি ভাব থাকলেও কিছু না কিছু খেতে হবে। না খেয়ে থাকা যাবে না। বমি ভাব হলে সে সময় তরল খাবার এড়িয়ে চলবেন। যাদের প্রচুর বমি হয় তারা প্রচুর পরিমাণ ক্যারলিযুক্ত খাবার যেমন- খেজুর, কিসমিস, কলা ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
খুব গরম খাবার নয়
মর্নিং সিকনেসের অন্যতম কারণ হল গন্ধ৷ সেক্ষেত্রে গরম খাবার থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তীব্র গন্ধ বেরোয়৷ সেই গন্ধ নাকে গেলে বমিভাব হতেই পারে৷ সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন খাবার সাধারণ তাপমাত্রায় আসার পর খাওয়ার।
আদা দিতে পারে স্বস্তি
বমিভাব দূর করতে আদা বেশ কার্যকর। পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমায় এবং রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। বমিভাব হলে এক টুকরো আদা মুখে রাখতে পারেন। চাইলে আদা চা খেতে পারেন। দিনের অন্য সময়ে বমিভাব হলেও সামান্য আদা খেতে পারেন।
ভাজা বা চর্বি জাতীয় খাবার নয়
বেশি চর্বিযুক্ত, তেল চপচপে কিংবা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেসব খাবার পেট ফোলাভাব সৃষ্টি করে সেগুলো থেকেও দূরে থাকতে হবে।
কড়া গন্ধ থেকে দূরে
কড়া গন্ধ থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষ করে সিগারেট, কড়া সুগন্ধি ও অন্যান্য যে কোনো গন্ধ যা আপনার বমিভাব উদ্রেক করে।
মশলাযুক্ত খাবার নয়
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড এবং তৈলাক্ত খাবার বাদ দেয়াই ভালো। অল্প তেল, মশলায় রান্না পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এসময়। মশলাযুক্ত খাবার বমি ভাবটাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। রাতে অন্তত ৭/৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। দিনেও একঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম মা ও শিশুর জন্য ভালো।
তাছাড়া মর্নির সিকনেস দূর করতে মুখগহ্বর সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরি।
অধিকাংশ নারী গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসে ভোগেন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মর্নিং সিকনেস কাটাতে বাড়তি যত্নের কোনো বিকল্প নেই।