পুষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুব জরুরি। কেননা জন্মের পর প্রথ এই কয়েক বছরেই সন্তানের ৯০% গ্রোথ হয়। কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল বাড়ন্ত শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে প্রথম ৬ বছর চাই বিশেষ যত্ন ও বিশেষ খাবার, যা সন্তানকে সঠিক সময়ে দিবে বেড়ে ওঠার সঠিক পুষ্টি। চলুন জেনে নিই, কোনও কোনও খাবার নিশ্চিত করে সন্তানের প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
১. দুধ
দুধ শিশুদের জন্য খুব জরুরি একটি খাবার। দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এই মিনারেলগুলো হাড়, দাঁত ও নখের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে উপকারী। এছাড়া দুধে আরও রয়েছে প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন এ, বি২ ও বি১২, আয়োডিন, নায়াসিন ও ভিটামিন বি৬। এগুলো বাড়ন্ত শিশুর বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। তাই বাড়ন্ত শিশুকে দৈনিক ১ -২ গ্লাস দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। শিশু যদি দুধ পছন্দ না করে, সেক্ষেত্রে দুধের তৈরি অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন। যেমন: পুডিং, কাস্টার্ড, মিল্ক শেক ইত্যাদি। এগুলো সন্তান আগ্রহ নিয়ে খাবে।
২. ডিম
ডিম একটি হাই প্রোটিন খাবার। অর্থাৎ এতে আমিষ আছে প্রচুর পরিমাণে! তাই বাড়ন্ত শিশুর জন্য ডিম খুবই উপকারী। ডিমে আছে ভিটামিন বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ডি, ফোলেট, জিংক, আয়রন ও সিলিয়াম। এগুলো শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়াতে ভুলবেন না কিন্তু।
৩. মাছ
প্রোটিনের আরেকটি চমৎকার উৎস হচ্ছে, মাছ। যাতে আছে ভিটামিন বি, মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। বিশেষ করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সন্তানের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। এছাড়া এটি ভালো রাখে হার্টও।
৪. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভরপুর পুষ্টি! এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বেটা ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এই আলু ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও আঁশের ভালো উৎস। তাছাড়া অনেক বাচ্চারাই এই সবজিটি পছন্দ করে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ, গ্রিল কিংবা বেক করে খাওয়ানো যায়।
৫. দই
দই, বিশেষ করে টক দই বাড়ন্ত শিশুদের জন্য উপকারী। দইয়ে আছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজম ভালো করে। এ ছাড়া নিয়মিত দই খাওয়া হাড় ও দাঁত শক্তিশালী রাখতে কার্যকর।
শিশুর বাড়তি বয়সে সঠিক পুষ্টির অভবে যা হয়-
– সন্তানের শারীরিক গ্রোথ থেমে যেতে পারে
– কমে যেতে পারে বুদ্ধির বিকাশ
– হাড়ের গঠন দুর্বল হতে পারে
– মেজাজ খিটখিতে হয়ে যেতে পারে
– বদহজম
সুতরাং বাচ্চার যথাযথ গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্ট-এর ব্যাপারে, আসুন সময় থাকতেই সচেতন হই, এবং দৈনন্দিন খাবারে উপরোক্ত পুষ্টিগুলো নিশ্চিত করি।