এইতো সেদিন মাত্র জন্ম হলো। এরই মধ্যে বাচ্চারা ছুটোছুটি শুরু করতে চাচ্ছে, কথা বলছে আধো আধো শব্দে। সেগুলো নিয়ে আহ্লাদ আর ভালোবাসায় কেটে যাচ্ছে আপনার দিন। আপনার মনে হতেই পারে- বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার যখন খাচ্ছেই, খাবারটা একটু বেশি করেই খাওয়াই। বাড়ন্ত শিশু র জন্য এই ভাবনা সঠিক নয়।
১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের দেহে ক্যালরির যে চাহিদা সেটা নবজাতকদের চেয়ে বেশি। শারীরিক অ্যাক্টিভিটি’র উপর ভিত্তি করে ১ থেকে ৩ বছরের বাড়ন্ত বাচ্চাদের দৈনিক ১০০০-১৪০০ ক্যালরি প্রয়োজন। এই ক্যালরি নানা রকমের খাদ্য যেমন- শস্য, ফল, সবজি, প্রোটিন, দুগ্ধ ও তেলের মাধ্যমে সুষম বণ্টন করে তাদের খাওয়াতে হবে। কিন্তু, প্রতিদিন এই পরিমাণ ক্যালরি কীভাবে নিশ্চিত করবেন? চিন্তার কিছু নেই। ২টি পদ্ধতি বলছি যা ফলো করলে নিশ্চিত হবে আপনার সন্তানের দৈনন্দিন ক্যালরির চাহিদা।
এই পদ্ধতিতে আপনার সন্তানের খাবারগুলিকে প্লেটে ভাগ ভাগ করে সাজাতে হবে। প্লেটের আনুমানিক ১/২ ভাগ থাকবে রঙ্গিন শাক-সবজি ও ফলমুল, ১/৪ ভাগ থাকবে ভাত, রুটি, পাউরুটি, সিদ্ধআলু, সিরিয়াল ইত্যাদি কারবোহাইড্রেট এবং ১/৪ ভাগ থাকবে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি জাতীয় প্রোটিন। ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য নিচের ছবিটি খেয়াল করুন।
এভাবে আপনার সন্তান খাবারটা যেমন আগ্রহ নিয়ে মজা করে খাবে, তেমনি নিশ্চিত হবে তার প্রতিবেলার পুষ্টি।
আপনি কি জানেন, একটি মানুষের প্রতি বেলার প্রয়োজনীয় খাবার তার হাত দিয়েই মাপা যায়? আপনি চাইলে আপনার সন্তানের খাবারের পরিমাণ তার হাত দিয়ে মেপে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ৪ ভাবে এই মাপ নির্ণয় করতে পারেন:
১. তালুর আয়তন
২. মুষ্ঠির আয়তন
৩. হাতের কোষের আয়তন
৪. বৃদ্ধাঙ্গুল-এর সমআয়তন
এই ক্ষেত্রে, খাবারের উপর নির্ভর করে কীভাবে তা মাপা হবে। নীচের চার্টে তা দেওয়া হল:
এই দু’টি পদ্ধতি নিশ্চিত করবে আপনার সন্তানের পর্যাপ্ত পুষ্টির পরিমাণ। তবে তাকে যদি খাবার প্লেটে ভাগ করে খাওয়ান, সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে অন্য পদ্ধতিও অবলম্বন করবেন। তা না হলে, পরবর্তীতে সে বেশি খেতে চাইবে না। পাশাপাশি, তাকে মাঝে মাঝে বড়দের খাবার খেতে দিন ও সময়ে সময়ে মজাদার খাবার খেতে দিন। এভাবে পরিমিত খাবার দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য।