ভিটামিন ডি-এর অভাব কিন্তু কোনও হালকা বিষয় না!শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ভিটামিন ডি লাগবেই। এটি শিশুর হাড় গঠনে যেমন ভূমিকা পালন করে, তেমনি শিশুর গ্রোথ নিশ্চিত করতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে,চাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘ভিটামিন ডি’। শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কেন হয়, কীভাবে নিশ্চিত করবেন তার পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর চাহিদা- আসুন জেনে নিই সে বিষয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
কী হয় পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি না পেলে?
* অস্থি বা হাড়ের গঠন ঠিকমতো হয়না, হাড় বাঁকা হয়ে যায়, দীর্ঘমেয়াদি অভাবে হাড় ক্ষয় হয়
*দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়
*পেশির দুর্বলতা ও অবসাদ অনুভুত হয়
*দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
কীভাবে বুঝবেন শিশুর দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাব আছে?
*শিশুর কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা নেই, ভালো খাবারও গ্রহণ করছে; কিন্তু তবুও তার উচ্চতা, ওজন, গ্রোথ স্বাভাবিক ভাবে হচ্ছে না।
*প্রায় শিশুর নিম্নাগের হাড়ে ব্যাথা অনুভুত হয়।
*শিশুর চঞ্চলতা কমে গিয়েছে, ক্লান্তিবোধ দেখা যায়। সেই সাথে মনোযোগও কম আজকাল। প্রায়ই, কোন কারণ ছাড়াই বিরক্ত করছে ।
বিভিন্ন কারণে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিতে পারে। যেমন-
*পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পাওয়া
*শরীরে ভিটামিন ডি-এর সংশ্লেষণ কম হওয়া
*ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া
*গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি -এর ঘাটতিথাকা।
*সিলিয়াক কোনও রোগ কিংবা পিত্তঘটিত শারীরিক সমস্যা থাকা
*কিডনির রোগ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী লিভারের সমস্যা থাকা
*সবসময় সানস্কিন লোশন ব্যাবহার করা
*যক্ষ্মার ওষুধ কিংবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়া
কোথায় পাবেন ভিটামিন ডি?
*ভিটামিন ডি এর অন্যতম প্রধান উৎস হল সূর্যের আলো।ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকার অভ্যাস করাতে হয়। এতে তার শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়।
*শিশুকে তৈলাক্ত মাছ খাওয়ান। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছের যকৃতের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
*দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার যেমন- পনীর, মাখন, ডিমের কুসুম, মাশরুম, ভিটামিন ডি ফর্টিফাইড – সিরিয়ালস, ফলের রস
বাচ্চার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকলে বাচ্চা হবে হেলদি ও স্ট্রং। আসুন, আমরা বাচ্চাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি- এর পরিমাণ নিশ্চিত করে গড়ে তুলি তাদের হেলদি ভবিষ্যৎ।