এই সময় বাচ্চারা খুব দ্রুত বেড়ে উঠে এবং খেলা ধুলা, স্কুলে ব্যস্ত সময় কাটায়।তাই এসময় তাদের ক্যালরি চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
বাচ্চার এই সময়ের খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধির জন্য জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় যদি সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা না হয়, ভিটামিন বা মিনারেলসের অভাব হয় তবে বাচ্চার বৃদ্ধি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইজন্য বাচ্চার এই বয়সে সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্য ব্যবস্তাপনাঃ
১। এসময় বাচ্চার কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য তালিকায় প্রতি বেলায় ২টি রুটি বা ১ থেকে ২ কাপ ভাত থাকতে হবে।
২। ৪ থেকে ৬ বছরের বাচ্চার muscle ডেভলপমেন্ট বেশি এবং শারিরীকভাবে লম্বা হয় বলে এসময় প্রোটিনের চাহিদা বেশি থাকে। প্রতি দিন প্রায় ৪০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন দেওয়া যেতে পারে। প্রোটিন হিসেবে ডিম, মাছ মাংস, বিভিন্ন রকমের ডাল দেয়া যায়।যেহেতু এই সময় বাচ্চারা প্রথম স্কুলে যায়, নতুন করে পড়ালেখার চাপ নিতে হয় এজন্য তাদের প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন যেমনঃমাছ, মাংস, ডিন ও দুধ বেশি খাওয়াতে হবে।
৩।এ সময় বাচ্চার ভিটামিন ও মিনারেল এর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। কিন্তু দেখা যায় এ বয়সী বাচ্চারা শাক সবজী খেতে চায় না। এতে তাদের ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা যায়,বিশেষ করে ভিটামিন-এ, বি-ভিটামিন। এজন্য প্রতি দিন অন্তত একটি শাক এবং লাল বা হলুদ রঙের সব্জি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রতিদিন ১/২ কাপ শাক এবং ১ কাপ সবজি দিতে হবে।
৪।এসময় সাধারণত বেশি আয়রনের অভাব জনিত এনিমিয়া দেখা যায়।তাই প্রতি দিন একটি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ কাচা কলা বা পাকা কলা ,শিং মাছ, কলিজা,লাল শাক,বেদানা ইত্যাদি খাবার দেয়া যেতে পারে।
৫।প্রতিদিন অন্তত এক কাপ দুধ দিতে হবে যা বাচ্চার ক্যালসিয়াম, ভিটামিন -এ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।
৬।প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর শরবত এবং একটি ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়াতে হবে। যেমনঃপেয়ারা আমড়া জাম্বুরা, কমলা বা মালটা।
৭।প্রতিদিন এ বয়সী বাচ্চাদের কমপক্ষে দেড় লিটার পানি খাওয়াতে হবে।
৮।আজকাল বাচ্চাদের ভিটামিন -ডি এর অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই বাচ্চাকে প্রতি দিন ৩০ মিঃ রোদে রাখুন।