বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল কিংবা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের কথা তো আমরা জানি। কিন্তু কোলিন-এর কথা আমরা কি জানি? কিংবা কোথায় পাওয়া যাবে এই কোলিন? চলুন জেনে নেয়া যাক চট করে।
কোলিন কী?
কোলিন হচ্ছে পানিতে দ্রবণীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা মূলত ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স-এর অন্তর্ভুক্ত।
কোলিন কেন প্রয়োজন?
১।ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে:
২।ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন বি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন কে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
৩।গর্ভবতী অবস্থায় ও শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দানরত অবস্থায় কোলিন অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, শিশুর মস্তিষ্ক হৃৎপিণ্ড গঠনে সাহায্য করে।
৪।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যাওয়া শুরু করে। কোলিন এ প্রক্রিয়া উন্নতি করতে পারে।
৫।লিভারের বাড়তি ফ্যাট দূর করতে সহায়তা করে।
৬।খেলোয়াড়দের জন্য কোলিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোলিন মস্তিষ্ক ও দেহের দ্রুত সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।
৭।গুরুত্বপূর্ণ এই পুষ্টি উপাদান সাহায্য করে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে। পাশাপাশি মেরুদণ্ড গঠনেও রাখে বিশেষ ভূমিকা। ৮।গর্ভের সন্তানকে নিউরাল টিউব ডিফেক্ট থেকেও রক্ষা করে এই কোলিন।
এখন ছোট করে জেনে নিই কখন কি পরিমাণ কোলিন গ্রহণ প্রয়োজন।
• ১৪-১৮ বছর বয়সী নারী: ৪০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন
• গর্ভবতী মা: প্রতিদিন ৪৫০ মিলিগ্রাম
• বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা: ৫৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন
কোলিন-এর অভাবে কী হয়?
দেহের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের কথা অনেকেই জানেন না। ফলে, বহু মানুষই, বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা পড়েন নানা রকম ভোগান্তিতে। শুধু তাই না, প্রভাব পড়ে অনাগত কিংবা নবজাতক সন্তানের উপর; নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি ব্যাহত হয় সন্তানের মানসিক বিকাশও!
কোলিন এর অভাবে লিভার ডিজিজ, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, atherosclerosis ইত্যাদি অসুখ হতে দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে সারা বিশ্বে ৯০ শতাংশ ব্যক্তিরই কোলিন ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। আর তাই এখন সময় কোলিন নিয়ে ভাবার।
কোথায় পাবেন কোলিন?
চলুন জেনে নিই কোথায় পাবেন কতটুকু কোলিন।
*সিদ্ধ ডিম; ১৪৭ মিগ্রা
*গরুর মাংস; ১১৭ মিগ্রা
* মুরগীর বুকের মাংস; ৭২ মিগ্রা
*গম; ৫১ মিগ্রা
* ব্রকলি; ৩১ মিগ্রা
*লাল চালের ভাত; ১৯ মিগ্রা