সাধারণত কোন খাবার গ্রহণ করার পরে, সেই খাবারের কোন নির্দিষ্ট পদার্থ আমাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করলে আমরা তাকে এলার্জি বলি। মানুষের দেহের পেট ও অন্ত্র সম্পর্কিত স্থানে খাবারের অ্যান্টিজেন ধ্বংস হয়। যখন কারো নির্দিষ্ট কোনও খাবারে সমস্যা থাকে তখন সে বারবার খাবারটি গ্রহণ করলে, তা অতিরিক্ত হয়ে রক্তে চলে আসে; ফলে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা যায়। আর এই অবস্থাকেই আমরা এলার্জি বলে থাকি। এলার্জি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-
১। বংশগত
২। শারীরিক ও মানসিক স্ট্রেস
৩। এলার্জি হয় এমন খাবার বারবার গ্রহণ করলে
৪। খাবার যদি পচা,বাসি বা সংক্রমিত হয়।
এলার্জি হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ দেখা যায়:
ত্বক:
ত্বকে এলার্জির অনুষঙ্গ হল- লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানো, র্যাশ হওয়া, পানি আসা, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
পেট বা অন্ত্র সম্পর্কিত:
পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেটে অস্বস্তি বোধ করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা ইত্যাদি।
শ্বাসনালী:
গলা খুসখুস করা, গলাব্যাথা, এজমা, ব্রংকাইটিস, ঘন ঘন কাশি, নাক দিয়ে পানি পরা ইত্যাদি।
নিউরোলজিক:
উদ্বেগ, মাথাব্যথা, অবসন্ন বোধ করা, মাংসপেশি ও জয়েন্টে ব্যথা করা ইত্যাদি।
কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার এলার্জি আছে:
১। ব্লাড টেস্ট করে:
রক্তের IgE যদি বেশি থাকে তাহলে বুঝতে হবে এলার্জি আছে।
২। স্কিন টেস্ট:
স্কিন টেস্ট করে বোঝা যায় কোন খাবার খেলে বাচ্চার এলার্জি হয়।
৩। বাচ্চার প্রতিক্রিয়া দেখে:
কোন একটি নির্দিষ্ট খাবার খেলে, যদি বাচ্চার উপরে উল্লেখিত কোন লক্ষণ দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে তার এলার্জির সমস্যা আছে।
এলার্জি হলে করণীয়:
১। প্রথমে খেয়াল করে দেখতে হবে কোন কোন খাবারে বাচ্চার এলার্জির লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে সেসব খাবার বাচ্চার খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
২। একটানা অনেক দিন এলার্জিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে, পরবর্তীতে মাঝে মাঝে সেসব খাবার খেলে সমস্যা কম দেখা যায়। তাই যেকোন এলার্জিযুক্ত খাবারই দীর্ঘদিন খাবার তালিকায় না রাখা উচিত।
৩। অতিরিক্ত সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত যেসব খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে:
গরুর মাংস, গরুর দুধ, চিংড়ি, সয়া, বাদাম, ময়দা, ইস্টে তৈরি খাবার, কচুর লতি, কচুর শাক, কচু, ঢেঁড়স ইত্যাদি খাবার খেলে সাধারণত এলার্জি হয়ে থাকে।