কিছু দিন থাকে শুধুই মন খারাপের। হয়তো কোন কারণে, কিংবা একদম কারণ ছাড়াই কোন কিছু ভালো লাগে না। পছন্দের বই, সিরিজ কিংবা গান শুনতেও তখন মন সায় দেয় না। কী করলে যে এই মন খারাপ ভাবটা কাটবে, তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই অনুভূতি ভুলতে অনেকেই খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তখন মনে হয়, মিষ্টি অথবা তেলে ভাজা কোন খাবার খেলেই শুধু ভালো লাগবে, আর কিছুতেই নয়। ঘরে কিংবা বাইরে, যেখান থেকেই হোক না কেন, সেই খাবারটি খেতে হবেই বলে মনে হয়। আর হাতের কাছে খাবার অর্ডার করার অ্যাপ ও ডিসকাউন্টের লোভ থাকলে তো কথাই নেই। মুহূর্তেই হাতের কাছে চলে আসে এমন খাবার।
আবেগের বশে এভাবে খাওয়াকে বলা হয় ইমোশনাল ইটিং। কাজের চাপ, অর্থনৈতিক সমস্যা, সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে শুরু করে অনেক রকমের নেতিবাচক আবেগকে প্রশমিত করতে বিভিন্ন কমফোর্ট ফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েন। শারীরিক ক্ষুধার চেয়ে এই ক্ষুধা ভিন্ন। এর সাথে পাকস্থলীর চেয়ে আমাদের মস্তিষ্কের সম্পর্কই বেশি।
মানসিক ক্ষুধার সাথে শারীরিক ক্ষুধার পার্থক্য কী?
আবেগের বশে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হুট করেই জেগে উঠে। মনে হয় যেন এই খাবারটি না খেলে আমার হবেই না! অন্যদিকে শারীরিক ক্ষুধা হুট করে পায় না। ধীরে ধীরে এবং আগের খাদ্যগ্রহণের বেশ কিছু সময় পর এমন ক্ষুধা পায়। এবং এ সময় কোন বিশেষ খাবার খাওয়ার জন্য আলাদা কোন চাহিদার অনুভূতি হয় না।
ইমোশনাল ইটিং-এর আরেকটি বৈশিষ্ট হলো, এ সময় শুধু মিষ্টি কিংবা তেলযুক্ত নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছা করে। কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা ভাবতেও ইচ্ছা করে না। অন্যদিকে সাধারণ ক্ষুধার সময় এমনটা মনে হয় না। পরিমিত যে কোন খাবার খেয়েই শারীরিক ক্ষুধা মেটানো যায়।
মনের ক্ষুধা মেটাতে দেখা যায় অনেকটা খাবার মানুষ খেয়ে ফেলে। পরিমাণবোধের বিষয়টি তখন মাথায় কাজ করে না। কিন্তু স্বাভাবিক ক্ষুধা মেটাতে খাবার খাওয়ার সময় এমনটা হয় না। যদিও মন খারাপ কাটানোর জন্যেই ইমোশনাল ইটিং, তবু এই রকম খাওয়া শেষে তৃপ্তি তো আসেই না, বরং মনের মাঝে কাজ করতে থাকে এক ধরণের অপরাধবোধ। অনেকের ক্ষেত্রে নিজের প্রতি ঘৃণাও চলে আসে। কিন্তু স্বাভাবিক ক্ষুধা মেটানোর জন্য খেলে শেষে পাওয়া যায় তৃপ্তি, শরীরেও একধরণের ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
কীভাবে বুঝবেন আপনি একজন ইমোশনাল ইটার?
আপনিও ইমোশনাল ইটিং’এ অভ্যস্ত কিনা, তা জানতে হলে নিজেকে এই প্রশ্নগুলো করুন-
মানসিক চাপে ভুগলে কি আপনি বেশি খান?
পেট ভরা থাকলেও আপনার খেতে ইচ্ছা করে?
আপনি মন ভালো করার জন্য বা মনকে শান্ত করার জন্য খাবার খান?
⦁ নিজের কোন ভালো কাজের পুরষ্কার হিসেবে কি কোন খাবার খেয়ে থাকেন?
ক্ষুধা মেটার পরেও কি আপনি একদম গলা পর্যন্ত ঠেসে খান?
⦁ খাবার খাওয়ার ব্যাপারটা কি আপনাকে শান্তনা দেয়? খাবারকে নিজের বন্ধুর মতো মনে হয়?
⦁ খাবার দেখলেই কি আপনি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারান?
যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে আপনি শরীরের জন্য নয়, আবেগ মেটাতে খাবার খান। আপনি একজন ‘ইমোশনাল ইটার’।
কেন এই ইমোশনাল ইটিং?
এই সমস্যাটির নাম থেকেই বোঝা যায়, আবেগ বা অনুভূতির সাথেই এর মূল সম্পর্ক। ইমোশনাল ইটিংকে প্রভাবিত করে এমন কিছু বিষয়কে গবেষকরা আলাদা করে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো-
মানসিক চাপ-মানসিক চাপে থাকলে মানুষ যেমন মাঝে মধ্যে খাবারের কথা ভুলেও যায়, তেমনি মানসিক চাপ হঠাৎ ক্ষুধা জাগিয়েও তোলে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেসে ভুগলে দেহ কর্টিসল নামের একটি স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন করা শুরু করে। আর সেই কর্টিসলের প্রভাবে মস্তিষ্কে মিষ্টি, নোনতা, ভাজাপোড়া খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জেগে উঠে। তা মেটাতেই মানুষ লাগামহীনভাবে খেতে শুরু করে।
আবেগ প্রশমনে- সব আবেগ বা অনুভূতি সুখের হয় না। খারাপ লাগাগুলোকে চেপে রাখতে অনেকে খাবারের সাহায্য নেন। নেতিবাচক বিভিন্ন আবেগ যেমন রাগ, ভয়, দুঃখবোধ, একাকীত্ব, লজ্জা ইত্যাদির ভার সইতে না পেরে এগুলো ভোঁতা করার জন্য খাবারের সাহায্য নেন। খাবারে মন দিলেই যেন এগুলো হারিয়ে যাবে, এমনটা তখন মনে হয়।
একঘেয়েমি কাটাতে- কিছু করতে ভালো না লাগা থেকেই সূচনা হয় একঘেয়েমির। হতাশা, সবকিছু মলিন মনে হওয়ার এই অনুভূতি কাটাতে ইচ্ছে করে মুখের স্বাদ বদলে। মুখরোচক খাবার খেয়ে মনের গভীরে থাকা অতৃপ্তি ও বিষণ্ণতা কাটাতে অনেকেই ইমোশোনাল ইটিং’এর পথ ধরেন।
বাল্যকালের অভ্যাস- অনেক বাবা- মা তার সন্তানদের ভালো কাজের পুরষ্কার দিতেন খাবার দিয়ে। রেজাল্ট ভালো করলে মিষ্টি, আইসক্রিম খাওয়ানো কিংবা কোন বদঅভ্যাস ত্যাগ করলে ভালো খাবার রান্না করে খাওয়ানোর প্রবণতা অনেক বাবা মায়ের মধ্যেই ছিলো, এখনো আছে। এতে করে ছোটবেলার সেই সুখের স্মৃতির সাথে খাবারের ব্যাপারটি জড়িয়ে যায়। তাই নস্টালজিয়ায় ভুগে বা ছেলেবেলার সুখের অনুভূতি ফিরে পেতে অনেকেই সেই খাবারগুলো খেয়ে পুরোনো দিনের আবেগটি ফিরে পেতে চান।
ডায়েটের সাথে ইমোশনাল ইটিং এর সম্পর্ক- ইমোশনাল খাওয়া-দাওয়া বলতে সাধারনত এমন অবস্থাকে বুঝায় যে, কেউ বেশি ক্ষুধার্ত বা সারাক্ষণ কেউ ক্ষুধা অনুভব করছে। ডায়েটের সাথে এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যেমনঃ
১। কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি হলেঃ যদি আপানার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকে, প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে যা আমাদের ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে দেয়, তবে রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে আপনি বার বার ক্ষুধা অনুভব করতে থাকবেন।
২। ঘুম বা বিশ্রাম কম হলেঃ যখন কারো ঘুম বা বিশ্রাম কম হয়, তখন তার রক্তে Ghrelin হরমোন এর পরিমাণ বেড়ে যায় যা শরীরে ক্ষুধার অনুভূতি বাড়ায় এবং লেপটিন (যা ক্ষুধার অনুভূতি কমায়) হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে সে বেশি ক্ষুধার্ত থাকে।
৩। পানি কম খেলেঃ পানি আমাদের পেট ভর্তি রাখে ও ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে দেয়। পানির পিপাসার অনুভূতিকে অনেকে ক্ষুধার অনুভূতির সাথে মিলিয়ে ভুল করে ও বেশি খেয়ে ফেলে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হয়।
৪। আঁশ জাতীয় খাবার কম খেলেঃ অধিক আঁশযুক্ত খাবার খেলে তা তৃপ্ত হবার হরমোনকে নিঃসৃত করে। ফলে ক্ষুধার অনুভূতি কমে যায়। ডায়েটে আঁশ জাতীয় খাবার কম থাকলে দ্রুত ক্ষুধা লাগে।
৫। খাবার সময় অমনোযোগী হলেঃ খাবারের সময় বই পড়া, মোবাইল দেখা, কাজে ব্যস্ত থাকা ইত্যাদি অভ্যাসের ফলে আমাদের খাবারের তৃপ্তির ব্যাঘাত ঘটে। ফলে দ্রুত ক্ষুধা অনুভূত হয়।
৬। ডায়েটে লিকুইড খাবার বেশি হলেঃ কেউ যদি সারাদিন তরল জাতীয় খাবার খায় যেমনঃ সুপ, জুস, স্মুডিস ইত্যাদি, তাহলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগবে।
৭। খাবার দ্রুত খেলেঃ খাবার ধীরে ধীরে খেলে ও অধিক বার চিবিয়ে খেলে শরীর ও ব্রেন অধিক সময় পায়। এতে শরীর অ্যান্টি-হাঙ্গার হরমোন উৎপাদন করে, ফলে আপনি খাবার খেয়ে তৃপ্তি বোধ করবেন ও ক্ষুধা কম লাগবে। দ্রুত খাবার খেলে এর উল্টোটা ঘটে।
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন ইমোশনাল ইটিং?
আবেগের বশে খাওয়ার এই অভ্যাস সম্পর্কে জানার পর স্বাভাবিকভাবেই জানতে হবে কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য আগে নিজের এই খারাপ দিকটা মেনে নিতে হবে। কোন কোন বিষয় আপনার এইরকম ইমোশনাল ইটিং’এর পেছনে কাজ করে, তা আগে বের করতে হবে। এরপর আনতে হবে জীবনযাপনে পরিবর্তন। যেসব উপায়ে এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসা যায় তা হলো-
নেতিবাচক আবেগকে প্রশমিত করুন স্বাস্থ্যকর উপায়ে: মনে রাখতে হবে, খাবার কখনো কোন কিছুর সমাধান নয়, এটি আপনার দেহের জ্বালানি মাত্র। খারাপ লাগা বা নেতিবাচক আবেগ কখনো কোন খাবার খেয়ে আপনি সত্যিকারে প্রশমিত করতে পারবেন না, এবং এর বিকল্প খুঁজে বের করা জরুরি। অন্য কোন উপায় যেমন জমে থাকা কাজ শেষ করা, কোন ভালো বই পড়া, নতুন কিছু শেখা- ইত্যাদি হতে পারে আপনার মনের ভার দূর করার উপায়।
শরীরচর্চা: শরীরচর্চা হতে পারে আপনার মানসিক ক্লান্তি ও নেতিবাচক ভাবনা দূর করার উপায়। আপনি শরীরের যত্ন নিতে শুরু করলে আপনার নিজের প্রতি ভালোবাসাও বাড়বে ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে। এতে করে আপনি খাবারের ব্যাপারে অজান্তেই হয়ে যাবেন আরো সচেতন।
যোগব্যায়াম: অনেক গবেষণাতেই যোগব্যায়ামের সাথে মানসিক প্রশান্তির ইতিবাচক সম্পর্ক উঠে এসেছে। নিয়মিত যোগব্যায়াম মন থেকে খারাপ ভাবনা ও আবেগ দূরে রাখে এবং মনকে শান্ত রাখে। প্রশান্ত মনে খাবার দিয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে না।
কী খাচ্ছেন, লিখে রাখুন: খাবারের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে প্রতিবেলার খাবারের একটি ডায়েরি রাখা শুরু করুন। সেখানে কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন, কতটুকু খাচ্ছেন তা লিখে রাখুন। এতে করে কোন সময় আপনার মানসিক অবস্থা কেমন ছিলো এবং তখন কতটুকু খেয়েছেন তা দেখতে পারবেন।
সুষম ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে: সব বেলায় যথেষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হবে, এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেন বাদ না পড়ে। প্রতিবেলায় সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে ইমোশনাল ইটিং’এর প্রভাবে অতিরিক্ত খাওয়ার হার কমে যায়। আর অসময়ে ক্ষুধা পেলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর নাস্তা।
হাতের কাছে যেন অস্বাস্থ্যকর খাবার না থাকে: সাধারণত ইমোশনাল ইটিং’এর ক্ষেত্রে মিষ্টি কিংবা তেলযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেশি জাগে। চকলেট, আইসক্রিম, বিস্কিট, চিপ্স ইত্যাদি খাবার হাতের কাছে পেলে এ সময় অনেক বেশি খাওয়া হয়। তাই ঘরে যতটা সম্ভব এ ধরণের খাবার কম রাখতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ফুড অর্ডার করার অ্যাপ থেকে খাবার অর্ডার করার অভ্যাস থাকলে সেটি থেকেও দূরে থাকতে হবে।
কতটুকু খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন: যতই ক্ষুধা পাক, সব খাবারের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে। ইমোশনাল ইটিং’এর সমস্যা যদি আপনার থাকে, তবে সবসময় খেয়াল রাখবেন কতটুকু খাচ্ছেন। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়ার পর আপনার দেহই আপনাকে বলে দিবে কখন আপনাকে থামতে হবে। সেই সিগন্যাল বুঝতে চেষ্টা করবেন এবং তখন খাওয়া থামাবেন।
প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন: সুখ যেমন ভাগ করে নিতে হয়, দুঃখও অন্যের সাথে ভাগ করে নিতে হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেই সাধারণত আবেগের বশে মানুষ খাবার খায়। আর খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা অনেক সময় একার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কাছের কোন মানুষের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। এতে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা আরেকটু সহজ হবে।
খাবারে মনোযোগ দিন, অন্য কিছুতে নয়: গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার সময় অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকলে খাদ্যগ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়। টিভি, ইউটিউব কিংবা ফোনের পর্দায় ব্যস্ত না থেকে খাওয়ার সময় শুধু খাবারের উপরেই মনোযোগ দিন। এতে করে খাবারের মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়বে, আর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি শরীরের ক্ষুধা মেটানোর জন্য খাচ্ছেন না মনের ক্ষুধা মেটাতে ইমোশনাল ইটিং করছেন।
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন: যদি কোন উপায়েই নিজের খাবার গ্রহণের মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারেন, তবে সাহায্য নিতে হবে কোন বিশেষজ্ঞের। পুষ্টিবিদ বা মনোবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞের উপদেশ মেনে চেষ্টা করতে পারেন এই অভ্যাস থেকে বের হতে।
মনকে ভালো রাখতে, খারাপ ভাবনা ও আবেগ দূরে রাখতে অতিরিক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কোন সমাধান নয়। তাই সমস্যার সমাধানে আগে এর শুরু কোথায় তা বের করে নিতে হবে ব্যবস্থা।