ইউটিআই হলে কী করবেন?

ইউটিআই

প্রায় প্রত্যেক নারীই, কখনোও না কখনোও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া’র সমস্যায় ভুগেছেন; যাকে আমরা বলে থাকি ইউটিআই। এটি যে কতোটা বিরক্তিকর ও হতাশাজনক তা শুধু মেয়েরাই ভালো জানেন; কারণ, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ইউটিআই-তে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। নারীদের রিপ্রোডাক্টিভ অর্গান বেশী বড় হওয়াতে ইনফ্লামেশন বেশি হবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সবসময় তাদের হাইড্রেটেড থাকতে হয় ও বেগ আসলেই প্রস্রাব করে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়-যাতে সিস্টেম থেকে ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যেতে পারে।

ইউটিআই খুব সহজে কন্ট্রোল করা বা অ্যাভয়েড করা যায় যদি ব্যালেন্সড ডায়েট খাওয়া হয়, এমনকি অনেক সময় এটিই প্রথম চিকিৎসা। শুধু খাবার নয়, যেসব পানীয় আপনি পান করেন তার ও অনেক বড় প্রভাব রয়েছে ব্লাডারের স্বাস্থ্যের।

রিসার্চ বলে ইউরিন পিএইচ অনেক বড় ফ্যাকটর ইউরিনারী ট্রাকটে ব্যাকটেরীয়া আক্রমণের জন্য এবং আমাদের ডায়েট ইউরিন এর পিএইচকে অনেক বেশী প্রভাবিত করে। কিন্তু, ইউটিআই যদি হয়েই যায়, তখন আপনি কী করবেন? এক্ষেত্রে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক নেবার আগে চেষ্টা করুন নিচের ডায়েটটি মেনে চলতে।

 পানি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই!

পানি খাওয়ার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। যতো বেশি পানি খাবেন, ততো বেশি প্রস্রাব ক্লিয়ার হবে। আর যতো বেশি প্রস্রাব ক্লিয়ার হবে, ততো বেশি ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। তাই, প্রতিদিন হিসেব করে ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি খাবেন।

 চাই প্রোবায়োটিক

প্রবায়োটিক হল এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া, যা আপনাকে হেলদি রাখতে সাহায্য করে। তাই, চেষ্টা করবেন আপনার ডায়েটে দই, কটেজ চিজ অথবা বাটার মিল্ক জাতীয় প্রোবায়োটিক ফুড রাখার। বিভিন্ন ফারমেনটেড ডেইরী প্রোডাকটস (fermented with good bacteria) ইউটিআই এর হার ৮০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এমন দই কিনে খাওয়া উচিত যেখানে লেখা থাকে “কনটেইন্স লাইন এন্ড অ্যাকটিভ কালচারস”। প্রোবায়োটিকে ভালো উপকারী ব্যাকটেরীয়া থাকে যা ইনফেকশনকে প্রতিরোধ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

 কলা

কলা এবং ফাইবার ফুড ইউরিনারি ট্র্যাক্ট এর হেলথের জন্য খুব ভালো, কারণ এগুলো রেগুলার বাওয়েল মুভমেন্ট এবং প্রসাবের বেগকে বাড়িয়ে দেয়।

 হাই-ফাইবার ফুডস

বিভিন্ন ধরনের হাই-ফাইবার ফুডস যেমন ডাল, বাদাম, ওটস, কলা, সবুজ রুটি ইত্যাদি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত। কেননা, এরা আপনার প্রতিদিনের বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রেখে মূত্রাশয়ের উপর চাপ কমিয়ে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সহায়তা করে।

 খেতে পারেন ক্র্যানবেরির জুস

ক্র্যানবেরিতে প্রান্থসায়ানিডিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে, যা মূত্রনালিতে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের প্রতিরোধ করে। আপনার যদি ইউটিআই হয়ে থাকে, চেষ্টা করবেন মিষ্টি বা চিনি ছাড়া ক্র্যানবেরি জুস কিংবা পিউর ক্র্যানবেরি গ্রহণ করার। সবসময় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন, যেহেতু তারা ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি করে থাকে।

যেসব খাবার এডিয়ে চলবেন

আপনার এই ইনফেকশন হলে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন ক্যাফিনেটেড ও কার্বোনেটেড পানীয়, ঝাল জাতীয় খাবার এবং এসিডিক ফল যেমন কমলা, আংগুর, লেবু ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা, এরা মূত্রাশয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। খাবারের মধ্যে চিনি ইনফেকশনকে বাড়িয়ে তোলে। তাই, এসময়ে মিষ্টি জাতীয় খাদ্য ও চকোলেট থেকে দূরে থাকা উচিত।

facebook.com linkedin.com twitter.com
Categories:

Leave a Reply

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে প্রয়োজন যে ৮টি খাবার
প্রতিটি পরিবারে বাচ্চাদের খাবার নিয়ে থাকে বাড়তি সচেতনতা। বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে, বাচ্চার বয়স
শিশুর আয়োডিনের ঘাটতি হলে কোন ৫টি সমস্যা দেখা দেয়?
শিশুর আয়োডিনের ঘাটতি হলে যে ৫টি সমস্যা দেখা দেয় বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আয়োডিনের ঘাটতির
পরীক্ষার সময় মনোযোগ ধরে রাখতে ও সুস্থ থাকতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার
স্টুডেন্ট লাইফ মানেই প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা। শিক্ষা জীবনে স্টুডেন্টদের পরীক্ষার মাধ্যমেই ধাপে ধাপে এগিয়ে
দৈহিক সুস্থতায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জিংক কেন প্রয়োজন?
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ থাকা চাই। সহজভাবে বলতে চাইলে,
don't worry about summer
প্রচন্ড গরমে নিমিষেই দূর হবে সারাদিনের ক্লান্তি
রোদের তাপ ক্রমশ বাড়ছে তাই না? এদিকে এই গরমের দিনে মিসেস শারমিনকে থাকতে হয় সারাদিন
গরমে সুস্থ থাকতে কেমন খাবার খাওয়া চাই?
ইদানীং অনেক গরম পড়েছে তাই না? চারিদিকে গরমের দাবদাহে জীবন প্রায় অতিষ্ঠ। কিন্তু জীবন-জীবীকার খোঁজে আমাদের
কম খরচে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকা যেমন হওয়া উচিত
বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? মাছ-মাংসের দাম শুনলেই মনে হয় বাজারে আগুন লেগে আছে। কিন্তু
DHA এবং ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট
ডোকোসাহেক্সনিক এসিড বা সংক্ষেপে DHA হলো মস্তিষ্ক গঠনের একদম প্রাথমিক উপাদান। সহজ করে বললে DHA
গর্ভাবস্থায় প্রোটিন কেন জরুরি ?
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে মায়ের চাই বাড়তি যত্ন ও সব রকমের পুষ্টি
বুদ্ধিতে বৃদ্ধিতে সন্তানের চাই সঠিক পুষ্টি
পুষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুব জরুরি। কেননা জন্মের পর প্রথ এই কয়েক